July 13, 2025, 2:46 pm
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।
বসতবাড়ির ২০০মিটারের মধ্যে কোন কল কারখানা উঠাবার সরকারি নীতিমালা না থাকলেও সেই নীতিমালা অমান্য করে নেছারাবাদ উপজেলার ৪নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের মাহমুদকাঠি এলাকায় জহির মেম্বারের বসতবাড়ী ঘেঁষে একটি করাতকল (স’মিল) স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতা, সাবেক মেম্বার শাহাদাত হোসেন এর বিরুদ্ধে ।
এ বিষয়ে জহির মেম্বার এর ছোটভাই জুয়েল কাজ বন্ধের নোটিশ চেয়ে পিরোজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধারা-১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি মামলা করেন। সেই ৪৪/৪৫ আমান্য করে শাহাদাত গংরা স’মিল নির্মানের কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ঘরের পাশে শাহাদাত মেম্বার গংরা স’মিল উঠাবার পায়তারা করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৬জুলাই রবিবার নেছারাবাদ উপজেলা মাহামুদকাঠি গেলে কাজ করতে দেখা গেছে। করাতকল(স’মিল)র পাশেই রয়েছে একাধিক বসতঘর, রয়েছে, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী জহির মেম্বার বলেন, আমাদের যায়গায় জোর করে শাহাদাত হোসেন ও তার ভাইয়েরা স’মিল উঠাইতেছে আমি বাঁধা দিলেও তারা কর্নপাত করে নায়। পরে আমি আদালতে ৪৪/৪৫ করি। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু শাহাদাত মেম্বার সেই আদালতে নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে শাহাদাত মেম্বার বলেন, আমি ১৩বছরের মেম্বার ছিলাম, বড় একটি রাজনৈতিক দলের সদস, ৪নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব। জহির মেম্বারের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে একটা বিরোধ চলমান আছে। আদালতের ৪৪/৪৫ অগ্রাহ্য করে কাজ চালু রাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, না না ওখানে কাজ বন্ধ রয়েছে, সেখানে বালু আগেই ভরাট ছিলো। ঘরের পাশে স’মিল উঠাবার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, জহির মেম্বার সেও তার যায়গায় স’মিল উঠাইতে চাচ্ছে। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার পাশে করাতকাল উঠানো যায় কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন,পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিঘ্ন সৃষ্টি করে এরূপ কোনো স্থানের ন্যূনতম ২০০ (দুইশত) মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এ নিয়ম অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, আমি মহামান্য আদালতের দেয়া ৪৪/৪৫ এর নোটিশ অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য বলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এর পরেও যদি কাজ চালু রাখে বিষয়টি আদালতে জনাতে হব।
আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।